October 24, 2024, 10:26 am

সংবাদ শিরোনাম :
৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত ১ বছরে দুবার ঝড়ে কপাল পোড়েছে কয়রা বাসির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার

নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

বিমানের যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের দূরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সরকার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে বলেন, বিমান উড্ডয়ন একটি উচ্চতর কারিগরি পেশা। তাই নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত ও বিমানের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে আরও আন্তরিক হতে হবে। কারণ পেশাগত ক্ষেত্রে সততা এবং শৃঙ্খলার বিকল্প নেই।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান চলাচলের উন্নয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা স্মরণ করেন। এই ধারাবাহিকতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত রেখেছে এবং একটি যুগোপযোগী বিমান বাহিনী ও বেসামরিক বিমান পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দূরবর্তী গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাই। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সিভিল এভিয়েশনকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, বিমান বাহিনীকে সবদিক থেকে সচ্ছল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয়সহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজও চলছে। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচলে ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিমান বাংলাদেশেরও উন্নয়ন করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক রাডার ক্রয় থেকে শুরু করে বিমানের সংখ্যা বাড়ানো এবং বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সৈয়দপুরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এই বন্দর যাতে আমাদের পাশের বিভিন্ন রাষ্ট্রও ব্যবহার করতে পারে সেভাবেই আধুনিক করে নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাত্রীসেবার মান বাড়ানো ও বেসামরিক বিমানের ফ্লাইট পরিচালনায় গতি আনতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে ১২ মিলিয়নের বেশি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হবে। বাগেরহাটেও বিমানবন্দর স্থাপন করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিচালনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাঁচ তারকা মূল্যায়ন পেয়েছি। এছাড়া বিমান পরিচালনা মূল্যায়নকারী যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাও আমাদের মূল্যায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী সেমিনারে অংশ নেওয়া চার মহাদেশের ১৬ দেশের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের বিনিময় নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন